পৃথিবী একদিকে চলে আর আমরা চলি অন্যদিকে। পরিবেশ ও উন্নয়নের চিরকালীন দ্বন্দ্বের অবসান চায় পৃথিবী। আর আমরা? বিশেষ করে চট্টগ্রামে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। পরিবেশের বারোটা বাজিয়েই একের পর এক উন্নয়নের নকশা করা হচ্ছে চট্টগ্রামে। কর্ণফুলীর চরে বর্জ্যে শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনার পর এবার শোনা গেল আরেকটি দুঃসংবাদ।
প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকার খবরে প্রকাশ, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্প নির্মাণের জন্য টাইগারপাসে কাটা পড়ছে শতবর্ষী শতাধিক গাছ।
টাইগারপাস থেকে কদমতলীমুখী শহরের সুন্দর রাস্তাটির গাছগুলো কাটার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। মাটি পরীক্ষার পর র্যাম্পের মূল অবকাঠামো নির্মাণের আগেই এসব গাছ কেটে ফেলা হবে বলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। পরিবেশের ওপর উন্নয়নের খড়্গটি এবার এমন একটি স্থানে পড়ছে, যে স্থানটি চট্টগ্রামকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দান করেছে।
এই স্থানটিতে এলেই দেখা যায় প্রাচীন বড় বড় সব মহিরুহের ছায়াবেষ্টিত ‘দ্বিতল’ সড়ক। এই সড়কের একটি অংশ গেছে পাহাড় ঘেঁষে ওপর দিয়ে, আরেকটি অংশ নিচে। মধ্যবর্তী পাহাড়ি ঢালে রয়েছে ছোট-বড় শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।